শুক্রবার, ২৩ মে, ২০০৮

আমার গবেষণা-১

ঠেলায় পড়লে বাঘেও ঘাশ খায়, আমিতো অতি সাধারন মানুষ। পড়া লেখায় আমার রাজ্যের আলসেমি, তবে সব পড়ায় না। শুধু যে পড়া দরকারী সেটা পড়তেই আমার যত আলস্য। তার পরেও এখন কপালের ফেরে আমি এখন গবেষক সহকারী, তাও আবার কোরিয়ার মত দেশে যাদের কাছে কাজই জীবন। সকাল ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কাজ করার পরও এদের কাজ শেষ হয় না। এদের সংসার কি করে টেকে সেটা আমার মত বাংগালীর কাছে এক রহস্য। যাক ধান বানতে শিবের গীত গেয়ে লাভ নেই। আমার গবেষণার কথায় ফিরে যায়।

এখানে আসার আগে বুঝি নাই আমার ল্যাব এত বড়। এই ল্যাব বিশ্বের এক মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ল্যাব যেখানে ৫" সাইজের এলসিডি প্যানের উৎপাদন করা যায়। আসার পর বড় একটা ধাক্কা খেয়ে ছিলাম। যে কিনা খুলনার মত একটা অজপাড়াগার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা করে মাত্র কিছু দিন হল পাশ করেছে তার জন্য এরকম একটা ল্যাব ধাক্কা খাওয়ার মত জিনিষই বটে। প্রথম ৩ মাস আমার কাজ ছিল প্রতি সপ্তায় নতুন একটা গ্রুপের সাথে কাজ করা, তাদের গবেষণার বিষয়ে ধারনা নেওয়া এবং বিষয়টা নিয়ে একটা প্রাথমিক ধারনা নেওয়া। ৩ মাস পর প্রফেসর জানতে চাইলো কোন বিষয়টা আমার পছন্দ হয়েছে। আগে থেকেই সিধান্ত নিয়ে রেখে ছিলাম সার্কিট টিম এ কাজ করব। সার্কিট টিম এর প্রফেসার ও আমার ব্যাপারে বেশ আগ্রহি। এছাড়া ওই প্রফেসর ইন্টেল এর সাথে একটা প্রজেক্ট শুরু করতে যাচ্ছে। তাই ডুকে গেলাম এই টিমে। মেন প্রফেসর আমার পছন্দ শুনে বেশ হতাশ হলেন বলে মনে হল। এখন জানি তিনি একজন সিনিয়রকে বলে ছিলেন আমার এই ফিল্ডে নাকি ইউনির্ভারসিটি লেভেলে কাজ হয়না, হয় কম্পানি পর্যায়ে। তার পরও আল্লার নাম নিয়ে শুরু করলাম। আমার মত ছেলের জন্য ইন্টেল বিশাল কিছু। আর তাদের সাথে কাজ করা একটা স্বপ্ন। এমন সুজোগ হাত ছাড়া করতে আমি রাজি না।

শুরু হল ইন্টেল এর কাজ। প্রফেসর আমায় ডেকে বলেন, তোমাকে কাজ করতে হবে টেকনলজির শেষ প্রান্তের বিষয় নিয়ে। ইংরেজিতে যাকে বলে স্টেট অফ দ্যা আর্ট অতএব আমাকে সেই পর্যন্ত জ্ঞান আগে আমাকে অর্জন করতে হবে। শুনে বেশ ভয়ই পেলাম। আমার ল্যাবে আগে কেউ এ বিষয় নিয়ে কাজ করেনি। ফলে কোন গাইড ও পাওয়া যাবেনা। প্রথম কয়েক দিন প্রফেসর ইংলিসে কিছু লেকচার দিলেন। এরপর কোরিয়াদের সুবিধার জন্য কোরিয়ানে লেকচার দেওয়া শুরু করলেন। আমাকে বললেন ওদের কাছ থেকে আলচনা করে জেনে নিতে। আর ওদের জিগেস করলে বলে "I didn't understand" কি আর করা শুরু করলাম বাঘের ঘাস খাওয়া। কিছু না পারলে প্রফেসর কে জিগেষ করি। এই লোকটার কাছে আমি চির কূতগ্য। হাতে ধরে অনেক কিছু আমাকে শিখিয়েছেন। অনেক কিছু.. শিখেছি ইংরেজি বানান থেকে শুরু করে নিজের ব্যাক্তিত্য অনেক কিছু।
আর একদিন লিখব....। ‘রিকার‘ কিভাবে লেখে রুপালিতে খুজে বের করতে হবে?

বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০০৮

মাচু পিচু Machu-Picchu

মানুষের জীবনে কিছু স্বপ্ন থাকে। আমার সেরকম একটা স্বপ্ন হল মাচু পিচু দেখা। সাধ আছে সাধ্য নেই। তাই গুগল আর্থই ভরসা। ইনকা সভ্যতার বিস্ময়কর নির্দশন। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে পাহাড়ের এত উপরে এই শক্তি শালী সভ্যতা তারা কি করে তৈরি করেছিল তা এক বিস্ময়।


মাচু পিচু নতুন সপ্তম আশ্চার্যের অন্যতম। যায়গাটা তার যোগ্য সম্মান পেয়েছে। পারলে ঘুরে আসুন মাচু পিচু। না পারলে আমার মত গুগলই ভরসা। জিগায় দেখেন অনেক কিছু পাবেন, যা আফছোচটা আরও বাড়িয়ে দেবে। ছবি গুল গুগল সার্চ থেকে নেয়া।

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০০৮

আমি একজন মুসলিম

ভিডিও টা আমার কাছে ভাল লেগেছে। আসলে আমরা মুসলিমরা এমনই। কোথায় যেন একসুতই বাধাঁ। তাই ভিনদেশি হলেও তাদের অনুভুতি গুলো আমাকে ছুয়ে যায়।

শনিবার, ৩ মে, ২০০৮

চেরী বসন্ত-২

চেরী ফুলের সাথে পরিচয় বিখ্যাত বাংলা গান ‘ওগো বিদেশীনি অমার শিউলি নাওউ তোমার চেরী ফুল দাউ’ গানটা দিয়ে। গানটাতে ফুলের সৌন্দর্য তেমন র্বণনা নেই। তবে প্রমের গানেতো আর আউফাউ ফুলের নাম আসতে পারেনা। তাই গান শুনে ভাবতাম না জানি কি সে জিনিষ। তবে বাস্তবে দেখার পর পুর্বের ধারনা স্যতি মনে হল। ভয়াবহ এ সৌন্দর্য।


একক ভাবে খুবই সাদামাটা ফুল। কিন্তু কথাই আছেনা একতাই বল,তার উৎকৃষ্ট প্রমান এই ফুল। ছোট ছোট সাদা হালকা গোলাপি রংঙ্গে যখন ফোটে তখন মাথা খারাপ হওয়ার দশা। গাছে কোন পাতা থাকেনা। শুধু ফুল আর ফুল।



মনে হয় তুষার পাত হয়েছে। না দেখলে এ জিনিষ পুরপুরি উপলব্ধি করা যাবেনা। হালকা বাতাসে ফুলের পাপড়ি রাস্তাই ঝরে পড়ে রাস্তা সাদা হয়ে যায়।





ছবি দেখলে কিছুটা ধারনা পাবেন চেরী কেন সারা বিশ্বে বিখ্যাত।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন