মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

এখন যা শুনছি

আজ কয়েকদিন ধরে শুনছি আ্যবা-র গান। অনেকবার শোনা এদের গান গুলো ইদানিং গান খুব ভাল লাগছে। যদিও ইংলিস গান শোনা হলেও পুরপুরি একশ ভাগ বোঝার মত বিদ্যা এখনও হয়নি। বাজনার সাথে শব্দগুলো এমন ভাবে মিশে যায় যে বুঝতে আমার অন্তত বেশ বেগপেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুর দিকে ইংলিস গানের সাথে পরিচয়, বুঝতাম খুবই কম। তাই সাবটাইটেল ওলা গান গুলো শোনা হত বেশি। কয়েকবার গানটা শোনার পর পুর মানে বুঝতে পারতাম। আর এখন ইংলিস গান শুনলে আগে গানের কথা ডাউনলোড করে নিই, এর পর শুনি। এভাবে ইউটিউবে বেশ ভাল একটা প্লেলিস্ট তৈরি হয়েছে। ইদানিং এই প্লেলিস্টের নতুন সব গান আ্যবার গান। ড্যানসিং কুইন, টেইক এ চান্স অন মি, নেম অব দা গেম, চিকুইটিটা টেল মি হেয়াটস রং, সমার নাইট সিটি গান গুল বার বার শুনছি। সব গানের কথা গুলো পাওয়া যাবে এখানে। সব গান গুলোর ভিতর কেমন জানি একটা মিল আছে। বিশেষত যখন চার জন মিলে একসাথে গায় তখন মিলটা বেশি পাওয়া যায়। আমি এখন ও ধরতে পারিনি কারনটা ঠিক কি। তবে শুনতে বেশ ভালই লাগে। বিশেষত এদের রোমান্টিক গান গুলো চার জন এক সাথে গাওয়ার ফলে একটা নতুনত্ব পাওয়া যায়। তবে ব্যক্তি জীবনে এরা এই রোমান্টিকতা ধরে রাখতে পারেনি বলে আমার একটু খারাপ লাগে।

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

বাংলা কিবোর্ড ও আমার প্রস্তাবনা

কম্পিউটার এ বাংলা লেখার সাথে পরিচয় অনেক দিনের। কিন্তু এখনও এব্যপারটাতে আমি পারর্দশী হয়ে উঠতে পারিনি। কারন বাংলা লেখার ক্ষেত্রে আমার দুর্বলতা ও ধীর টাইপিং দক্ষতা। তবে নানা কিবোর্ড ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যবহারকারী হিসাবে সবগুলোতে কিছু না কিছু সমস্যা পেয়েছি। অন্তঃপক্ষে আমার কাছে কোনটাকে মনে হয়নি এটাই কম্পিউটারে বাংলা লেখার ক্ষেত্র চুড়ান্তরুপে গ্রহন করা যেতেপারে। তাই ব্যবহারকারী হিসাবে আমি কিছু প্রস্তাবনা রাখছি। এব্যপারে যারা কাজ করছেন তাদেরকে বিষয়টা একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো। এবার আসা যাক মুল কথায়। সবগুলো কিবোর্ড নিয়ে আমি পয়েন্ট আকারে আলোচনা করবো।

১) বিজয়: অন্যতম ব্যবহৃত কিবোর্ড। কিন্তু এর উচ্চমুল্য এবং আরও কিছু জটিলতা এর ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দিয়েছে।
২) অভ্র: বাংলা লেখার ক্ষেত্রে এটি একটি মাইল ফলক। নতুন প্রজন্মের অধিকাংশ এখন এটা ব্যবহার করে। সহজ কিবোর্ড বিন্যাস এবং ফ্রি হওয়াতে এটার প্রসার হচ্ছে দ্রুত। কিন্তু উইনডোজ নির্ভর হওয়াতে অন্যান অপারেটিং সিসটেম এ এর কোন গ্রহন যোগ্যতা নেই। আমার কাছে এটাকে আলটিমেট বলে মনে হয়নি। মেমরিতে সবসময় একটা সফটওয়্যার জায়গা দখল করে রাখে। অন্যান ইউনিকোড ভাষাগুলো কম্পিউটারে যেভাবে সংযুক্ত হয় এটা মনে হয় সেভাবে হয় না। আমি কিছুদিন ব্যবহার করে পরে বাদ দিয়েছি।
৩) ফনেটিক (ওয়েব ইন্টারফেস): অভ্র ফনেটিক এবং ওয়েব নির্ভর ফনেটিক-এ কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। ইন্টারনেটে লেখার জন্য ওয়েব ফনেটিক (ওয়েব ইন্টারফেস) খুবই ভাল জিনিষ। কিন্তু অফলাইনে বা ইন্টারনেট বিহিন কম্পিউটারে লেখার জন্য এর কোন ইন্টারফেস (অভ্র বাদে) আমার চোখে পড়েনি।
৪) রুপালী/ প্রভাত: রুপালি একুশের পরিক্ষামুলক কিবোর্ড। প্রভাত সেটার পরিমার্জিত সংস্করন। আমি প্রভাত ব্যবহার করি। কারন মেমরিতে কোন আলাদা জায়গা দখল করে না। অন্যান ইউনিকোড যেভাবে কম্পিউটারে সংযুক্ত হয় এটাও মনে হয় সেভাবে সংযুক্ত হয়। এটা বাংলা লিনাক্স এর ডিফল্ট কিবোর্ড। লেআউট কিছুটা ফনেটিক কিবোর্ড লেআউট অনুসরন করে তৈরি করা। তবে এর কিবোর্ড এ কিছুটা গোজামিল আছে। কিছু অক্ষর কে তো ঠেলতে ঠেলতে নিউমেরিক্যাল কিবোর্ড এ নিয়ে ফেলেছে।
৫) অন্যান: ইউনিজয়, ইনস্ক্রিট, জয়িতা, মুনির এগুলো নিয়ে আমার তেমন কোন ধারনা নেয়।
আমার মতামত: আমার মনে হয় যদি প্রভাত এর কিবোর্ডটা পুর পুরি বাংলা ফনেটিকে রুপান্তর করা যায় তবে সেটা হবে চুড়ান্ত সমাধান। টেকিনিক্যাল কারণে হয়তো পুরপুরি ফনেটিক লেআউট অনুসরন করা সম্ভব নয়। তবে কিবোর্ড লেআউটা আরও কিছুটা ঘষামাজা করে যতটা সম্ভব ফনেটিকের কাছাকাছি নেওয়া যেতে পারে। যারা এবিষয়ে কাজ করেন তাদের কাছে এটা আমার অনুরোধ।

বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮

নাম দিয়ে কি হয়…

কথায় আছে নামের বড়াই করো নাকো নাম দিয়ে কি হয়। নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়। কিন্তু কথাটা অনেকাংশে মিথ্যা, এবং ক্ষেত্র বিশেষে পুর পুরি মিথ্যা। নামের গুরুত্ব অপরিসিম। সবাই নিজের নাম কে নিজের অজান্তে অনেক বেশি ভালবাসে। নিজের নামে পরিচিত হতে ভালবাসে। কিন্তু সেই নামই যদি অন্য কেউ মনে রাখতে না পারে বা ঠিকভাবে উচ্চরন করতে না পারে তখন স্বভাবতই বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।
এবার নাম নিয়ে এত প্যাচালের আসল কথায় আসি। নাম মনে রাখার ক্ষেতে আমি গোল্ড ফিস। এই নিয়ে আমার ভোগান্তিও কম হয়নি। অনেক দুরসম্পর্কের আত্মীয় আছে যাদের সাথে দেখা হলে চট করে আমি নাম মনে রাখতে পারিনা। ভাব বাচ্যে কথা চালাতে হয়। আর রাবনের বংশধর হবার সুবাদে বিশাল সংখ্যক চাচাতো, মামাতো, খালাতো ভাই বোনদের যে সুবিশাল নব বংশধর তাদের নাম মাথাতেই আসেনা। তারা ভাবে আমি মনে হয় তাদের ভুলেগেছি অথবা আমাদের ব্যাবধান বেড়ে গেছে।
যা হোক, বিদেশে আসার পর নাম নিয়ে পড়েছি এক নতুন উপদ্রবে। এদের অতি ক্ষুদ্র নাম আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্কে কিছুতেই থাকতে চায় না। দেড় বছরের বেশি হল ১২ জন ক্লাসমেটের নামই পুরটা এখনও মুখস্থ হয়নি। তবে দোষটা পুর পুরি আমার না। অধিকাংশ ক্ষেত্র এদের নাম সকল বাংগালীর কাছেই এবং অধিকাংশ বিদেশির কাছে সহজ উচ্চরিত নয়। সেটা এরাও ভাল করে জানে। তাই প্রথম পরিচয়ে নামটা কয়েক বারেও যখন ঠিকমত উচ্চারন করতে পারিনা, তখন এরা একটা সোজা নাম বা ইংরেজি নাম ধরিয়ে দেয়। সেটা মনে রাখতে অনেক সোজা। কিন্তু সমস্যা হল এই নামে এদের স্বদেশিরা এদের চেনেনা। আর যদি নামটা হয় তাদের বংশ নাম তা হলে ঐ নামে তাকে খোজ করা, আমার বাবাকে বলে বাজারে গিয়ে চিৎকার করা সমান কথা। একবার আমার প্রফেসরকে গিয়ে বললাম মিঃ কিম এটা দিছে। কিন্তু কোন কিম তা আর চিনাতে পারিনা। কারণ এখানে কিম বংশের লোক আছে ৫-৬ জন। তাই নাম মুখস্থ করাটা এখন বোঝার উপর শাকের আটি হয়ে গেছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি , উপায় নাই গোলাম হোসেন, উপায় নাই।

এই ব্লগটি সন্ধান করুন