কথায় আছে নামের বড়াই করো নাকো নাম দিয়ে কি হয়। নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়। কিন্তু কথাটা অনেকাংশে মিথ্যা, এবং ক্ষেত্র বিশেষে পুর পুরি মিথ্যা। নামের গুরুত্ব অপরিসিম। সবাই নিজের নাম কে নিজের অজান্তে অনেক বেশি ভালবাসে। নিজের নামে পরিচিত হতে ভালবাসে। কিন্তু সেই নামই যদি অন্য কেউ মনে রাখতে না পারে বা ঠিকভাবে উচ্চরন করতে না পারে তখন স্বভাবতই বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।
এবার নাম নিয়ে এত প্যাচালের আসল কথায় আসি। নাম মনে রাখার ক্ষেতে আমি গোল্ড ফিস। এই নিয়ে আমার ভোগান্তিও কম হয়নি। অনেক দুরসম্পর্কের আত্মীয় আছে যাদের সাথে দেখা হলে চট করে আমি নাম মনে রাখতে পারিনা। ভাব বাচ্যে কথা চালাতে হয়। আর রাবনের বংশধর হবার সুবাদে বিশাল সংখ্যক চাচাতো, মামাতো, খালাতো ভাই বোনদের যে সুবিশাল নব বংশধর তাদের নাম মাথাতেই আসেনা। তারা ভাবে আমি মনে হয় তাদের ভুলেগেছি অথবা আমাদের ব্যাবধান বেড়ে গেছে।
যা হোক, বিদেশে আসার পর নাম নিয়ে পড়েছি এক নতুন উপদ্রবে। এদের অতি ক্ষুদ্র নাম আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্কে কিছুতেই থাকতে চায় না। দেড় বছরের বেশি হল ১২ জন ক্লাসমেটের নামই পুরটা এখনও মুখস্থ হয়নি। তবে দোষটা পুর পুরি আমার না। অধিকাংশ ক্ষেত্র এদের নাম সকল বাংগালীর কাছেই এবং অধিকাংশ বিদেশির কাছে সহজ উচ্চরিত নয়। সেটা এরাও ভাল করে জানে। তাই প্রথম পরিচয়ে নামটা কয়েক বারেও যখন ঠিকমত উচ্চারন করতে পারিনা, তখন এরা একটা সোজা নাম বা ইংরেজি নাম ধরিয়ে দেয়। সেটা মনে রাখতে অনেক সোজা। কিন্তু সমস্যা হল এই নামে এদের স্বদেশিরা এদের চেনেনা। আর যদি নামটা হয় তাদের বংশ নাম তা হলে ঐ নামে তাকে খোজ করা, আমার বাবাকে বলে বাজারে গিয়ে চিৎকার করা সমান কথা। একবার আমার প্রফেসরকে গিয়ে বললাম মিঃ কিম এটা দিছে। কিন্তু কোন কিম তা আর চিনাতে পারিনা। কারণ এখানে কিম বংশের লোক আছে ৫-৬ জন। তাই নাম মুখস্থ করাটা এখন বোঝার উপর শাকের আটি হয়ে গেছে। চেষ্টা করে যাচ্ছি , উপায় নাই গোলাম হোসেন, উপায় নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন